মঙ্গলবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

ভিক্ষে চাইব না। কেন্দ্র না দিলে আমরা আমাদেরটা বুঝে নেব!

  |   বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   29 বার পঠিত

ভিক্ষে চাইব না। কেন্দ্র না দিলে আমরা আমাদেরটা বুঝে নেব!

ন্যায্য পাওনা আদায়ে আর ভিক্ষে করবে না বাংলা। প্রয়োজনে অপেক্ষা করবে। কিন্তু তাতেও বকেয়া না মিললে? ‘এবার লড়াই করে প্রাপ্য বুঝে নেব’—স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের হাসিমারায় সুভাষিনী চা বাগান মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের এই বার্তা দিয়েছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সব টাকা বন্ধ রাজ্যকে পিষে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। কতদিন এরকম চলে দেখব!’ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘প্রচার সর্বস্ব’ রাজনীতির অভিযোগও তুলেছেন মমতা। সমালোচনা করেছেন সব প্রকল্পে নরেন্দ্র মোদির ছবি রাখার সিদ্ধান্তের।
এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘কেন্দ্র সব ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের মজুরি বাবদ ছ’হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য। তা সত্ত্বেও ৪০ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারকে বিকল্প কাজ দিয়ে ১০ কোটি শ্রমদিবস তৈরি করেছি।’ এপ্রসঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তাঁর কটাক্ষ, ‘বলিহারি কথা! কাজ করাবে, অথচ টাকা দেবে না। এটা কোনও দয়া-দাক্ষিণ্য নয়। আয়কর নিয়ে যাচ্ছ, কাস্টমস ডিউটি তুলছ, আবার রেইডও করাচ্ছ।’ এরপর বকেয়া আদায়ের ক্ষেত্রে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সংঘাতের সুরে বলেন, ‘কতদিন এরকম চলে আমরা দেখতে চাই! ভিক্ষে চাইব না। কেন্দ্র না দিলে আমরা আমাদেরটা বুঝে নেব! লড়াই করে দেখিয়ে দেব, কীভাবে বুঝে নিতে হয়!’
এখানেই ক্ষান্ত হননি মমতা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে উত্থাপন করেন ওবিসি পড়ুয়াদের কেন্দ্রের প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ বন্ধের বিষয়টি। বলেন, ‘৮০০ টাকা করে ওই স্কলারশিপ আমরাই দেব।’ এদিন সেই বৃত্তির নতুন নামকরণও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী—‘মেধাশ্রী’। এই পর্বে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় চলে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে মমতার কটাক্ষ, ‘একটাই মুখের প্রচার! যেন উনিই সব দিচ্ছেন, আমরা কিছু না! সব জায়গায় ছবি। ছবি তাঁরই টাঙানো যায়, যিনি মানুষের কথা বোঝেন, মানুষের দুঃখ বোঝেন, যিনি মানুষের হৃদয়ে থাকেন।’ একটু থেমে সংযোজন করেন, ‘নির্বাচনের জন্য নয়, সারা বছর মানুষের পাশে থাকার কথা বলি। নির্বাচনের সময় যা বলি, তা করে দেখাই। কী মা-বোনেরা করে দেখিয়েছি কি না?’ সভাস্থল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতি পালনে তাঁর পক্ষে ‘সায়’ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলে চলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে সব বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ ও খুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। একটাও খুলেছে? নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করাটা অপরাধ।’
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি কিছু জায়গায় বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে। বিষয়টি তাঁর নজর এড়ায়নি। তাই এদিন মমতার বার্তা, ‘এসসি/এসটি সার্টিফিকেট বা অন্য যা কিছু পাননি, সেসব সরাসরি আমাকেজানান। তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে বলছি, দিদির দূতরা যাচ্ছেন। তাঁদের জানান। আমি সব দেখব। কেন হয়নি, কীভাবে হবে, সব!’

Facebook Comments Box

Posted ১১:২০ পিএম | বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।