নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট | 158 বার পঠিত

বিদেশের সঙ্গে লেনদেন ভারসাম্যে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৪৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৯ কোটি ডলার। আমদানি বাড়লেও রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকার প্রভাবে চলতি হিসাবে পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দুই মাসে প্রায় ১০ শতাংশ আমদানি বেড়ে এক হাজার ৮৮ কোটি ডলারের পণ্য দেশে এসেছে। একই সময়ে রপ্তানি প্রায় ১১ শতাংশ বেড়ে ৭৯৩ কোটি ডলার হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৯৬ কোটি ডলার। আগের একই সময়ে যা ছিল ২৭৫ কোটি ডলার। অবশ্য এখনকার আমদানি বৃদ্ধির একটি ইতিবাচক বিষয় হলো– মূলধনি পণ্যে বেশি বাড়ছে। প্রথম দুই মাসে মূলধনি পণ্যের আমদানি সাড়ে ২৪ শতাংশ বেড়ে ২০০ কোটি ডলার হয়েছে। মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি ৮ দশমিক ২০ শতাংশ, পেট্রোলিয়াম ২৭ শতাংশ, পোশাক-সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল ১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এসব পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতির ইঙ্গিত দেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার পরিবর্তনের পর ঋণের নামে অর্থ নিয়ে বিদেশে পাচার কিংবা অনিয়ম-দুর্নীতির টাকা বিদেশে নেওয়ার সুযোগ কমে এসেছে। ডলার সংকট না থাকায় অনেক দিন ধরে ডলার ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে এখন গ্রস প্রায় ৩২ বিলিয়ন এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত বজায় থাকার পাশাপাশি আর্থিক হিসাবে ঘাটতি কমে ৫৩ কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১১৭ কোটি ডলার। সামগ্রিক হিসাবের ঘাটতি ১৪৩ কোটি ডলার থেকে ৫ কোটি ডলারে নেমেছে।
Posted ৪:০৬ এএম | বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।