| রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 21 বার পঠিত
বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশব্যাপী জেলাপর্যায়ে ‘শান্তিপূর্ণ নীরব’ পদযাত্রা কর্মসূচিতে ১০ জেলায় বাধা, হামলা, সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০০ জনকে আহত ও ১০২ জনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, গাজীপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, কুমিল্লা, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, ফেনী, পিরোজপুর, নাটোরে এসব ঘটনা ঘটছে বলে প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বিএনপির দাবিÑ শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি হামলা চালিয়ে তাদের ২০০ নেতাকর্মীকে আহত এবং শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে দায়ী করেছেন। গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণআন্দোলনে এতটাই ভীত যে, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে হামলা, গ্রেপ্তার করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। কুমিল্লা, নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন জেলায় গুলি ও ককটেল হামলা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল জানান, পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, বাগেরহাট জেলার সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বর্তমান আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম ও সদস্য শাহেদ আলীসহ ৪৭ জন, কুমিল্লায় ১০, কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতা একে বিশ^াস বাবু, শহীদ সরকার মঙ্গল, আমিরুল ইসলাম মন্টুসহ ২০, নেত্রকোনায় বিএনপি নেতা কাদির, আলমগীর, এখলাস মেম্বার, বকুল মিয়া, রুবেল মিয়াসহ ১০, ঝালকাঠিতে জেলা যুবদল সদস্য সচিব আনিসুর রহমান, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তৌহিদ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. শামীম মৃধাসহ ১৬ নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত নেতাকর্মীদের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ফেনী সদর উপজেলার ৭নং বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী, কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতা বশিরুল আলম চাঁদ, ওয়াকার পারভেজ, কৌশিক আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম অনিক, নাঈম শেখ ও সাগির কুরাইশসহ ৩০ জন। ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান হেলাল, ঝালকাটি পৌর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসানসহ ৫৭ জন। নেত্রকোনায় বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, কামরুল হক, আশরাফুল ইসলাম, নুরুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে, যার মধ্যে ৩০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। কুমিল্লায় পুলিশের বেপরোয়া গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত হয়েছেন ২৫ জনের অধিক নেতাকর্মী।
কুমিল্লা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ‘পদযাত্রায়’ গুলি ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এতে চান্দিনা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। বিকালে মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার তীরচর ও দেবিদ্বার উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা খাদঘরে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন চান্দিনা থানায় কর্মরত কনস্টেবল শিপন হোসেন ও হাসান পারভেজ।
আহত বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হলেনÑ চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতিকুল আলম শাওন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ, চান্দিনা উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, য্গ্মু আহ্বায়ক উজ্জ্বল, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন, দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের যুবদল নেতা খোকন খান, বনকোট গ্রামের সোহেল। কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন, কুমিল্লা (উ.) জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আজহার মেম্বার, কুমিল্লা (উ.) জেলা মহিলা দলের সভাপতি সুফিয়া বেগম, কুমিল্লা (উ.) জেলা যুবদল নেতা ভিপি শাহীন, কুমিল্লা (উ.) জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাবু, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল সাইফুল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবদুর রহমান, বিএনপি নেত্রী তাছলিমা বেগম, আলেয়া বেগম, রমজান হোসেনসহ আরও অন্তত ৪-৫ জন। আহতদের চান্দিনা, দেবিদ্বার, দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আরশাদ জানান, পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমরা দাউদকান্দির দড়ানিপাড়া এলাকায় জমায়েত হই। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে আমরা ফিরে এসে গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পদযাত্রা শুরু করি। এ সময় পুলিশ এসে বাধা দেয়। পুলিশের এমন ভূমিকায় উত্তেজিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও লাঠিপেটা করে। এতে চান্দিনা উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ বিভিন্ন উপজেলার আরও অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হন। কুমিল্লা (উ.) জেলা মহিলা দলের সভাপতি ও দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগম, আলেয়া বেগম আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মহিলা দল নেতা তাছলিমা বেগমের মাথা ও হাতে বন্দুকের বাটের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান জানান, বিএনপি নেতারা পদযাত্রার নামে মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বিশৃঙ্খলা করছিল। এ সময় চান্দিনা থানাপুলিশ ও দেবিদ্বারে ভানী ক্যাম্প পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। এতে চান্দিনা থানার দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৩ রাউন্ড রবার বুলেট ছুড়ে।
নেত্রকোনা : নেত্রকোনায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নিতে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে অগ্নিসংযোগ ও মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিই। সকাল থেকেই সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আমাদের লোকজনকে বাধা দেয় এবং মারধর করে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ গুলি ছুড়েছে এবং অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার বাসায় ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, এর পর পুলিশ উল্টো বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি আটক হওয়া নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
বাগেরহাট : বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। পুলিশ পদযাত্রা থেকে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আহ্বায়কসহ ২৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। সকাল ১০টার দিকে বাগেরহাট শহরে কর্মসূচি চলাকালে এসব নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। আটক নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না, জেলা তাঁতি দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, চিতলমারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নুল পারভেজ সুমন, জেলা যুবদল নেতা নাসির আহমেদ বাকিসহ আটক নেতাকর্মীদের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশের বাধায় পদযাত্রা পণ্ড ও দলীয় নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট পৌর শহরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ হামলা চালিয়ে পণ্ড করে দেয়, দলীয় ৪০ নেতাকর্মীকে আটক করে। এখনো শহরের অলিগলি থেকে নেতাকর্মীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ জেলা বিএনপি ও জেলা আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি প্রোগ্রাম ছিল। সে কারণে উভয় দলকে প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করা হয়। বিএনপি তা উপেক্ষা করে পদযাত্রার আয়োজন করে এবং নাশকতার আশঙ্কায় আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ২০-২৫ জনকে আটক করি। তাদের যাচাই-বাছাই করছি এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পিরোজপুর : পুলিশি বাধার মুখে পিরোজপুরে জেলা বিএনপি পদযাত্রা করেছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মোড়ে পৌঁছলে পুলিম বাধা দেয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির পদযাত্রা শুরু হলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে পদযাত্রা উল্টো দিকে টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এক পথসভায় মিলিত হয়। পদযাত্রায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ওওয়ার্ড থেকে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঝালকাঠি : বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের আমতলা সড়কের বিএনপি কার্যালয় অবস্থানকালে ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হয়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আটজন আহত হন। অথচ পুলিশ উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশের ওপর হামলার কাল্পনিক অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, ঝালকাঠি সদর থানার ওসি অপারেশন ফিরোজ কামালসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ধাওয়া দিয়ে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে শহরের কলেজ রোডে বিএনপির কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি পদযাত্রার কর্মসূচির আয়োজন করে। এর অংশ হিসেবে আজ শনিবার সকালে পটুয়াখালী শহরের বনানী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেলা বিএনপি।
নীলফামারী : গতকাল বেলা ১১টার পর পরই আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়। একই সময়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা মার্কেটের অপর প্রান্তের মঞ্চে অবস্থান নেন। হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।
নাটোর : সকালে নাটোর শহরের আলাইপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ৫-৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা ও সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে চায় দুর্বৃত্তরা। পরে কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকারের পরিচালনায় সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়ে পৌরসভা মোড়ে যাওয়ার পথে পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
গাজীপুর : পদযাত্রা কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায়। পরে গয়েশ্বরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শিববাড়ি-রাজবাড়ী সড়কে পদযাত্রা বের করেন। তবে পদযাত্রাটি দলীয় কার্যালয় থেকে জোড়পুকুর পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে পুলিশের বাধায় দলীয় কার্যালয় থেকে ৫০ গজ সামনে গিয়ে পদযাত্রাটি শেষ হয়। নেতাকর্মীরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে সেøাগান দিতে থাকেন।
খুলনা : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায়ও বিএনপির পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে নগরীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আগামী ৪ মার্চ নগরীর পাঁচ থানায় পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু, যুবদল নেতা নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগরসহ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে পদযাত্রার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। পটিয়ার পাচুরিয়া মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হয়, বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বোয়ালখালীর মিলিটারিপুল এলাকায় এসে শেষ হয়। এদিকে নগরীর বায়েজিদ বাংলাবাজার এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে উত্তর জেলা বিএনপি। জেলার আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, কোনো স্বৈরশাসক স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে সরে আসে না। এ সরকারও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হবে।
Posted ২:৫৪ এএম | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।