রবিবার ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

নগরভবনে কারা তালা মেরেছে জানি না

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   177 বার পঠিত

নগরভবনে কারা তালা মেরেছে জানি না

নগরভবনে কে বা কারা তালা মেরেছে তা জানেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার গুলশানে তার নিজ বাসভবনে কয়েকটি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক বলেন, আদালতের রায়ের পর নির্বাচন কমিশন গেজেট করে তাকে মেয়র ঘোষণা করেছেন। শপথ পড়াতে আইনি কোনো বাধা ছিল না। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা আমলে নেয়নি। এখানে সংবিধান ও উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে দেখে নগরবাসী ফুঁসে ওঠে। তারা স্বেচ্ছায় রাজপথে নেমে আসে। ওই আন্দোলনে যুক্ত হন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। তবে কাউকে নগর ভবনে তালা মারতে বা কর্মকর্তাদের সেবা বন্ধ করতে বলা হয়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগ ইচ্ছাকৃতভাবে কর্মকর্তাদের অফিসে যেতে নিষেধ করেছেন। সেবা বিঘ্ন করতেও গোপনে ষড়যন্ত্র করেছেন। সেবা বিঘ্নিত করে তার (ইশরাক) সুনাম নষ্ট করতে চেয়েছেন। তিনি জানান, ডিএসসিসি’র প্রশাসক রয়েছেন। অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন; তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নগরভবনে যাচ্ছেন না। তাদের তো কখনো নগর সেবা কাজে বাধা দেওয়া হয়নি। আন্দোলনরত নগরবাসী শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছে। এটা সারা বছর চলবে-এমন তো নয়। মেয়রের চেয়ারে বসা তার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না; মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এই সরকারের ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো। কেননা, এই সরকার বিশেষ একটি দলের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শন করে চলেছে। সেই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলন সফল হয়েছে। কেননা, ওই সময়ে সরকারের মনোভাব যা ছিল, তাতে নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এরপর বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা চলমান রয়েছে। বৃহৎ স্বার্থে সংগঠিত আন্দোলন সফল হয়েছে।

নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়া হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, তার সমর্থকরা নগর ভবনের গেটে তালা মেরেছে তা তিনি বিশ্বাস করেন না। নগর ভবন সচল রাখা যাদের দায়িত্ব, তাদের উচিত নগর ভবনের তালা খুলে দেওয়া। সেবা বিঘ্নিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ষড়যন্ত্র করছে। এজন্য প্রতীকী প্রতিবাদ হিসাবে কয়েকদিন সেবা কার্যক্রম তদারকি করা হয়েছে। তবে এতেও যদি কোনো অপরাধ হয়ে থাকে, সে বিষয়ে সরকার মামলা করুক, ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

মেয়রের দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার আন্দোলনে দলীয় সমর্থন ছিল কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি কখনো কিছু করেননি, করছেন না এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। বৃহৎ অর্থে এই আন্দোলন গণতন্ত্রের উত্তোরণ প্রক্রিয়া সহজতর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আইন ভেঙে ডিএসসিসির কর্মচারীরা আন্দোলন করেছেন-এতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তারাতো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ন্যায্য বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন। এখানে দোষের কিছু নেই। এরপরও কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর যদি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে পুনরায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

Facebook Comments Box

Posted ৫:৪০ এএম | শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।