ডেস্ক রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 26 বার পঠিত
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনের পাশাপাশি বিপর্যস্ত প্রাণীকুল। গরমে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি। পাশাপাশি ওজন কমছে কোরবানির জন্য তৈরি হওয়া পশুর। উৎপাদন কমছে দুধের। কোরবানি ঈদের আগে নতুন এ সংকটে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে।
চলতি মাসে দেশে এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ অবস্থায় তীব্র তাপপ্রবাহে সারা দেশে প্রায় দুই হাজার গবাদিপশু মারা গেছে। কোরবানিযোগ্য গরুগুলো ওজন হারাচ্ছে গড়ে ৩০ থেকে ৭০ কেজি। এছাড়া ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে কমেছে দুধের উৎপাদন।
তীব্র গরমে গরু বাঁচাতে খামারিদের খরচও বেড়েছে শতকরা ৩০ শতাংশ। খামারে অতিরিক্ত শ্রমিক ও গরমজনিত প্রতিক্রিয়া রোধে বেড়েছে ব্যয়। যে কারণে কোরবানিতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন অনেকে। আবার এমন দুঃসহ পরিস্থিতির কারণে কোরবানির সময় বাজারে গরুর সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব বগুড়া কাহালু উপজেলায় দরগাহাট এলাকায় ১৪০টি গরু লালনপালন করছেন তার খামারে। এর মধ্যে ১২০টি কোরবানিযোগ্য। সোমবার (২৯ এপ্রিল) কথা হয় তার সঙ্গে। এখন পর্যন্ত তার খামারে কোনো গরু মারা যায়নি। তবে ওইদিন কাহালু উপজেলায় মারা যায় ৯টি গরু। বিপ্লবের পরিচিত গাইবান্ধার একটি খামারে একই দিনে ৭টি গরু মারা যাওয়ার খবরও দেন তিনি।
বিপ্লব বলেন, ‘নিজের গরু নিয়ে আতঙ্কে আছি। খামারের প্রতিটি বড় গরুকে দুবারের জায়গায় সাতবার গোসল করাচ্ছি। প্রতিদিন ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় নানা খাদ্য ও নিয়মিত স্যালাইন দিচ্ছি। প্রচুর খরচ করে ভালো রাখার চেষ্টা চলছে। তারপরেও গরু গরমে বিরক্ত হচ্ছে। স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছে না। যেখানে এখন ওজন বাড়ার কথা সেখানে কমছে।’
জানতে চাইলে বিপ্লব বলেন, ‘আমার প্রতিটি গরুতে প্রতিদিন গড়ে ৭শ টাকা খরচ হয়, সেখানে এখন গরমের কারণে এক হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। কোরবানির আগে এভাবে খরচ বাড়লে কীভাবে সম্ভব। লোকসানের আশঙ্কা করছি।’
Posted ৪:০৮ পিএম | বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।