রবিবার ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫   |   প্রিন্ট   |   190 বার পঠিত

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে চাঞ্চল্য

কানাডার নির্বাচনে ভারত সরকার গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল বলে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ভারত-কানাডার মধ্যে আগে থেকেই চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও এই অভিযোগ ভারত বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (CSIS) এর একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে বলে কানাডার সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল নিউজ’ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ’ করার চেষ্টা করেছে ভারত। যদিও এই হস্তক্ষেপ কতটা সফল হয়েছিল বা এর সুনির্দিষ্ট প্রকৃতি কী ছিল, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়নি।

এর আগেও কানাডা ভারত ও চীনের বিরুদ্ধে তাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কানাডার এই ধরনের অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সে সময় বলেছিলেন, কানাডার নির্বাচনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের ভিত্তিহীন অভিযোগ আমরা ঘোরতরভাবে অস্বীকার করছি। অন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা ভারতের নীতি নয়। বরং উল্টোটাই সত্যি। কানাডাই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে আসছে।

পরে অবশ্য কানাডার অভ্যন্তরীণ তদন্তে দেখা গিয়েছিল, সে দেশের নির্বাচনে ভারত কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি।

এই নতুন অভিযোগ এমন এক সময়ে সামনে এল যখন ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্ক এমনিতেই বেশ জটিল। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে খালিস্তানি আন্দোলনের অন্যতম নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় গুলি করে হত্যার ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক ফাটল সৃষ্টি করে। কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত থাকার অভিযোগ করেন, যদিও ভারত তা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে। এই ঘটনার জেরে দুই দেশই একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে জি-৭ সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সাক্ষাতের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। দুই দেশই একে অপরের দেশে হাইকমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনের দাবি ভারত-কানাডার সম্পর্ককে কোন দিকে নিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Facebook Comments Box

Posted ৬:০৭ পিএম | বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

|

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

ইউএসএ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ এবং তথ্যে আপনার প্রয়োজন মেটাতে

NSM Moyeenul Hasan Sajal

Editor & Publisher
Phone: +1(347)6598410
Email: protidinkar@gmail.com, editor@protidinkar.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।