| শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট | 34 বার পঠিত
জাতিগত সংঘাতে ফের উত্তাল ভারতের উত্তর-পূর্বের প্রদেশ মণিপুর। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোর পর্যন্ত বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা এবং চুরাচাঁদপুর জেলার কাংভাই এলাকায় বিরতিহীন গুলির শব্দ শোনা গেছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টার একাধিক অভিযোগও পাওয়া গেছে এসব এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনী মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় টহল দেয়।
বুধবার মেইতেই জনগোষ্ঠীর নেতা রঞ্জন সিংয়ের মণিপুরের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। তার পর পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় অন্তত ১ হাজার মানুষের একটি দল অ্যাডভান্স হাসপাতালের কাছে প্যালেস কম্পাউন্ডে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পরে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় আহত হন দুই বেসামরিক নাগরিক।
মণিপুর ইউনিভার্সিটির কাছেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে থংজু’র কাছে ২০০-৩০০ লোক জড়ো হয়। তারা স্থানীয় বিধায়কের বাসভবন ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশ এসে ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিক্ষুব্ধদের অন্য একটি দল শুক্রবার রাতে ইরিংবাম থানার অস্ত্রাগার ভাংচুরের চেষ্টা করে। মধ্যরাতে ইম্ফল পশ্চিমে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অধিকারীমায়ুম শারদা দেবীর বাসভবনেও ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। তবে সেনাবাহিনী এবং আরএএফ তা প্রতিরোধ করে।এদিকে সেনা সূত্রে জানা গেছে, ২০০ থেকে ৩০০ জনের একটি দল সিনজেমাইতে মধ্যরাতের একটু পর বিজেপি অফিস ঘেরাও করে। পরে সেনাবাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
Posted ১:২২ পিএম | শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।