| সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট | 117 বার পঠিত
অনলাইনে এক্সামিনেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষা-২০২০ এর প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার সারাদেশে ১২২টি কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৮৩ হাজার। রবিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান জানান, পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে স্ক্যান করে সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরে সার্ভারে তাৎক্ষণিকভাবে সফলভাবে পাঠানো হয়েছে। অনলাইনে এই ধরনের পরীক্ষা পরিচালন ব্যবস্থা বাংলাদেশে প্রথম। এই সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছ থেকে পরীক্ষার উত্তরপত্রের নম্বর একইভাবে অনলাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হবে। এই পদ্ধতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে ফলাফল প্রকাশে সময় অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বনের এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলো যাতে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কম সময়ে করা যায়, সেইসব ব্যবস্থার জন্যই ইএমএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে মাস্টার্স পরীক্ষায় চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পরীক্ষায় এই পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে।
মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা পাবনা কলেজের অধ্যক্ষ জু. হা. মো. আতিকুল্লাহ বলেন, পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রহণের সিস্টেম এই প্রথম চালু হলো। এটি অনেক সহজ এবং কার্যকরী উদ্যোগ বলে আমার কাছে মনে হয়। দ্রুত সময়ে মোবাইল দিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের বারকোড স্ক্যান করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সার্ভারে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠানো হয়েছে। এতে অনেক কম সময় লেগেছে। এটি সকল পরীক্ষায় ব্যবহার হলে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আমার ধারণা।
Posted ১২:২৯ এএম | সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
| admin
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।